Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে পৌরসভা

বান্দরবান পৌরসভা ১৯৮৪ সালে ২৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে ‘গ‍‍‌‌‌’ শ্রেণীর পৌরসভা হিসাবেগঠিত হয়।যাহা পরবর্তীতে ২০০১ সালে ‘ক’ শ্রেণীর পৌরসভাতে উন্নতি লাভ করে।শহরের চতুরদিকে পাহাড় বেষ্টিত এবং মাঝখানে সাংগু নদী বয়ে গেছে। অপার সৌন্দর্য আর সবুজ পাহাড়ে ঘেরা বান্দরবান পার্বত্য জেলা। সর্বোচ্চ সংখ্যক ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী,সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তাজিংডং, পাহাড়ী নদী আর অসংখ্য প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্যপট বুকেনিয়ে এ পার্বত্য জেলা আপন মহিমায় সমুজ্জল। এখানকার জীবন-জীবিকা, সামাজিক আচারঅনুষ্ঠান নানা বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। পাহাড়ী কণ্যা বান্দরবানে বেড়ানোর মত অসংখ্যদর্শনীয় জায়গা রয়েছে। এসব জায়গা দিনে দিনে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের নিকট অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বান্দরবানের এসব নৈসর্গিক দৃশ্য উপলব্ধি করার জন্য আপনাকে জানাই সু-স্বাগতম। পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে রয়েছে মেঘলা, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির,নীলগিরী,শৈলপ্রপাত,রিঝুক ঝর্ণা কেউক্রাডং,বগালেক,চিম্বুক অন্যতম। শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে বোমাং রাজার রাজবাড়ী। যাহা পাহাড়ী জনগণের প্রতিক। বর্তমানে প্রায় ৭৫,০০০ (পঁচাত্তর হাজার) লোক এই শহরে বসবাস করে। শহরের একপাশে রয়েছে বান্দরবান সেনানিবাস। শহরে মোট১৫ কিঃমিঃ পাকা রাস্তা, ১২ কিঃমিঃআধা পাকা রাস্তা ও ২০ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা এবং ১০কিঃমিঃ পাকা ড্রেন আছে। শহরের মাঝখানে প্রায় ৫.৫ কিঃমিঃ সাঙ্গু নদী বয়ে গেছে। এই শহরে দুটি হাট বাজার আছে, একটি সরকারী হাসপাতাল, দুটি সরকারী ও একটি বেসরকারী স্কুল এন্ড কলেজ আছে। মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় সরকারী ২টি ও বেসরকারী ৩ টি প্রতিষ্ঠান আছে। শিক্ষার হার ৫৬% । ৯টি ওয়ার্ডে ৯জন পুরুষ কাউন্সিলর, ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ১ জন নির্বাচিত মেয়র নিয়ে পৌর পরিষদ গঠিত। নাগরিক সেবার মধ্যে রয়েছে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করণ, সড়ক আলোকিত করণ, রাস্তাঘাট, ড্রেইন,কালভার্ট নির্মাণ ও মেরামত করা। এছাড়া পৌরসভায় পৌর এলাকার বিরোধ মিমাংসা করণ বোর্ড, জাতীয়তা সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদ, শহরের দুঃস্থ জনগণকে বিনামূল্যে ঔষধ ও এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে নাগরিক সেবা প্রদান করা হয়। বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে বিশুদ্ধপানি সরবরাহ ও দুর্গতদের বিভিন্ন রকম সেবা প্রদান করা হয়। পৌরসভার আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণপূর্বক রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করে নাগরিক সেবা প্রদানে আরো জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে শহরের রাস্তাঘাট, পয়নিষ্কাশন আধুনিকায়ন, শিশুপার্ক নির্মাণ, ক্যাবল কার স্থাপন, বিনোদন স্পট আধুনিকায়নসহ পর্যটন নগরী হিসাবেগড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।